Google

Google : প্রতিষ্ঠিত হয় Sept 4, 1998.
✪ Facebook : প্রতিষ্ঠিত হয় Feb 4,2004.
✪ YouTube : প্রতিষ্ঠিত হয় Feb 14, 2005.
✪ Yahoo! : প্রতিষ্ঠিত হয় March 1994.
✪ Baidu : প্রতিষ্ঠিত হয় Jan 1, 2000.
✪ Wikipedia : প্রতিষ্ঠিত হয় Jan 15, 2001.
✪ Windows Live : প্রতিষ্ঠিত হয় Nov 1, 2005.
✪ Amazon : প্রতিষ্ঠিত হয় 1994.
✪ Tencent QQ : প্রতিষ্ঠিত হয় February 1999.
✪ Twitter : প্রতিষ্ঠিত হয় March 21, 2006.
✪ Google এর প্রতিষ্ঠাতা Sergey brin & Larry
page
✪ Yahoo এর প্রতিষ্ঠাতা David filo & Jerry
yang
✪ Youtube এর প্রতিষ্ঠাতা Jabed karim, Steve
chen & Chad Harley
✪ Facebook এর প্রতিষ্ঠাতা Mark Zucherberg,
Chris Hughes,
✪ Wikipedia এর প্রতিষ্ঠাতা Jimmy Wales &
Larry Sanger
✪ Twitter এর প্রতিষ্ঠাতা Evan Williams Biz
Stone & Jack Dorsey
✪ ebay এর প্রতিষ্ঠাতা Pierre Omidyar
✪ Hotmail এর প্রতিষ্ঠাতা Sabeer Bhatia
✪ Myspace এর প্রতিষ্ঠাতা omanderson &
Chris Dewolfe
✪ Friendster এর প্রতিষ্ঠাতা Jonathan

গুগোল সার্চের মাধ্যেমে পাওয়া যায়

ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের নিত্যদিনের সঙ্গী হল গুগোল , প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় সব কিছুর খবর নিয়েই গুগোল এর সাহায্য নেই আমরা , কিছু মজাদার ফিচার রয়েছে যা গুগোল সার্চের মাধ্যেমে পাওয়া যায় এবং হয়ত আপনারা মিস করে গেছেন এতদিন , নীচে সেগুলোর কিছু অংশ দেয়া হল ।

১) Google Gravity:
গুগলের সার্চ বারে সার্চ দিন Google Gravity লিখে । অসংখ্য রেজাল্টের মধ্যে প্রথমে যে লিংক থাকবে সেটিতে ক্লিক করুন । দেখবেন আপনার গুগল মামা নিউটনের সেই আপেল গাছের আপেলের মত নীচে পড়ে যাবে ।

২) Barrel Roll:
সার্চবারে Barrel Roll লিখে সার্চ দিন। আগের মতই প্রথম লিংকে ক্লিক করুন । স্ক্রীনের সাথে চোখ রেখে আবার নিজে কাত হবেন না , তাহলে নীচে পড়ে যেতে পারেন ।

৩)Google Klingon এবং Google Pirate :
Klingon শব্দটির সাথে যাদের পরিচয় নেই তাদের বলছি এটি একটি ভাষা । কোথায় কেন ভাষাটি ব্যাবহার করা হয় গুগল ঘাটলেই পাবেন , নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারি অবাক করা তথ্য পাবেন , কেন গুগলের এই দুই ভার্শন তা ঠিক জানা নেই

৪) Doodles
গুগলের জনপ্রিয় একটি ফিচার হচ্ছে গুগল ডুডল । বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বিশেষ সময়ে ডুডল দেয়া হয় । সব ডুডল দেখতে পাবেন ডুডল আর্কাইভ থেকে । https://www.google.com/doodlesএই লিংক এড্রেসবারে দিন ঘুরে আসুন ডুডলের দুনিয়া থেকে

৫) Calculator
গুগল ক্যালেন্ডার , গুগল ওয়েদার সার্ভিস এর হেল্প তো সবাই নিয়েছেন , কিন্তু গুগল ক্যালকুলেটর ব্যাবহার কয়জনই বা করেছে ? গুগলের রয়েছে চমৎকার একটি সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ফিচার , আশাপাশে পাওয়া ক্যালকুলেটার এপস গুলো থেকেও বেশ পাওয়ারফুল এটি

৬) Google Sphare
সার্চ বারে দিয়ে প্রথম লিংকে ঢুকেই দেখবেন লেখাগুলোর মধ্যে হালকা ঘূর্ণিঝর শুরু হয়ে গেছে ।

৭) Graph for
গুগলে গ্রাফ ফর এর পর আপনার প্রয়োজনীয় সমীকরনটি লিখলেই আসবে সুক্ষ গ্রাফ আর্ট , ম্যাথে আপনার আকা গ্রাফের শেপ ঠিক আছে কিনা মিলিয়ে দেখতে পারবেন সহযেই।
তো Graph for[(SQRT(COS(X))*COS(400*X)+SQRT (ABS(X))-0.4)*(4-X*X)^0.1]

এপেল কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান

knowledge_graph_logo
একটি বিখ্যাত আমেরিকান বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি, যেটি কনজুমার ইলেকট্রিক, কম্পিউটার সফটওয়্যার, এবং অনলাইন সেবা ডিজাইন, ডেভলপ ও বিক্রি করে। কোম্পানিটির হার্ডওয়্যার পণ্যের মধ্যে আইফোন স্মার্টফোন, আইপ্যাড ট্যাবলেট কম্পিউটার, ম্যাক ব্যক্তিগত কম্পিউটার, আইপড বহনযোগ্য মিডিয়া প্লেয়ার, অ্যাপল ওয়াচ স্মার্টওয়াচ, ও অ্যাপল টিভি ডিজিটাল মিডিয়া প্লেয়ার রয়েছে। অ্যাপলের সফটওয়্যারের মধ্যে রয়েছে ম্যাক ওএস এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেম, আইটিউন্স মিডিয়া প্লেয়ার, সাফারি ওয়েব ব্রাউজার, এবং আইলাইফ ও আইওয়ার্ক সৃজনশীল ও প্রোডাক্টিভিটি স্যুট, সাথে সাথে রয়েছে প্রফেশনাল এপ্লিকেশন— ফাইনাল কাট প্রো, লজিক প্রো, এবং এক্সকোড। তাদের অনলাইন সেবার মধ্যে রয়েছে আইটিউন্স স্টোর, আইওএস অ্যাপ স্টোর এবং ম্যাক অ্যাপ স্টোর, অ্যাপল মিউজিক ও আইক্লাউড
এপ্রিল ১৯৭৬ সালে স্টিভ জবস, স্টিভ ওজনিয়াক ও রোনাল্ড ওয়েন ওজনিয়াকের অ্যাপল ১ ব্যক্তিগত কম্পিউটার ডেভেলপ ও বিক্রির জন্যে অ্যাপল গঠন করেন। জানুয়ারি ১৯৭৭ সালে এটি “অ্যাপল কম্পিউটার, ইংক” হিসেবে ইনকর্পোরেটেড হয়। কিছু বছরের মধ্যেই, জব ও ওজনিয়াক কম্পিউটার ডিজাইনের একজন কর্মী নিয়োগ দেন। ১৯৮০ সালে অ্যাপল আকস্মিক অর্থনৈতিক সফলতার জন্যে আইপিও-এর ঘোষণা দেয়। আর পরের কিছু বছর, অ্যাপল ইনোভেটিভ গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসসহ নতুন কিছু কম্পিউটার বের করলো, যেমন— ১৯৮৪ সালের ম্যাকিন্টশ কম্পিউটার। অ্যাপলের বিপণন বিজ্ঞাপনগুলোও বেশ প্রশংসা কুড়োয়। যাইহোক, পণ্যের উচ্চমূল্য, ও সীমাবদ্ধ সফটওয়্যার সমস্যার সৃষ্টি করে, সাথে সমস্যার সৃষ্টি করে নির্বাহী কর্মকর্তাদের ক্ষমতার লড়াই। ১৯৮৫ সালে ওজনিয়াক অ্যাপল থেকে সরে দাঁড়ায় ও জব অন্য কিছু কর্মচারীসহ চাকরি ছেড়ে দেয় ও নিজের কোম্পানি নেক্সট গঠন করে।ব্যক্তিগত কম্পিউটারের বাজার বৃদ্ধির সাথে সাথে, অন্যান্য প্রতিযোগীদের কমদামী পণ্য, বিশেষত মাইক্রোসফট উইন্ডোজ চালিত পণ্যগুলোর কারণে অ্যাপল কম্পিউটারের বিক্রি হ্রাস ফেলো।
আরও কিছু নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের চাকরি ছাড়তে লাগলেন। ১৯৯৭ সালে তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গিল এমেলিও নেক্সট ক্রয় করে স্টিভ জবসকে ফিরিয়ে আনা পর্যন্ত এটা চলতেই থাকলো। জব আসার অই কোম্পানিতে তার নেতৃত্ব ফিরে পান ও কিছুদিন পরেই কোম্পানির নতুন সিইওতে পরিণত হন। অ্যাপলের পূর্বাবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্যে তিনি একটি প্রক্রিয়া হাতে নেন, যার মধ্যে ছিলো ২০০১ সালের মধ্যে অ্যাপলের নিজস্ব রিটেল স্টোর খোলা, অনেকগুলো সফটওয়্যার কোম্পানি অধিগ্রহণ করে একটি পোর্টফলিও তৈরি করা, এবং তাদের কম্পিউটারের কিছু হার্ডওয়্যারে পরিবর্তন আনা। এ প্রক্রিয়ার কারণে অ্যাপল আবার সফলতার দেখা ফেলো। জানুয়ারি ২০০৭ সালে, জবস ঘোষণা দেন যে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকসের প্রতি তাদের আগ্রহ প্রকাশ করতে অ্যাপল কম্পিউটার, ইনকর্পোরেটেড পালটে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড হবে বলে ঘোষণা দেন। একইসাথে তিনি আইফোনের ঘোষণা দেন, যেটি বেশ প্রশংসা অর্জন করে ও উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সফলতার দেখা পায়। স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে আগস্ট ২০১১ সালে জবস প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অবসর নেন এবং টিম কুক হন নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তার দুমাস পরে, জবস মারা যান।
২০১৭ সালে অ্যাপলের বিশ্বব্যাপী বার্ষিক আয় সর্বমোট $২২,৯০০ কোটি টাকা। মুনাফার ভিত্তিতে এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইনফরমেশন প্রযুক্তি কোম্পানি এবং স্যামসাংহুয়াওয়ের পরে তৃতীয় বৃহৎ মোবাইল উৎপাদনকারী কোম্পানি আগস্ট ২০১৮তে অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পাবলিক কোম্পানি হিসেবে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদের পরিমাণ ছুয়। ২০১৭ সালে অ্যাপলের বিশ্বব্যাপী বার্ষিক আয় সর্বমোট $২২,৯০০ কোটি টাকা। মুনাফার ভিত্তিতে এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইনফরমেশন প্রযুক্তি কোম্পানি এবং স্যামসাংহুয়াওয়ের পরে তৃতীয় বৃহৎ মোবাইল উৎপাদনকারী কোম্পানি. আগস্ট ২০১৮তে অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পাবলিক কোম্পানি হিসেবে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদের পরিমাণ ছুয়। তাদের সর্বমোট ১,২৩,০০০ কর্মী, এবং ২২টি দেশে অ্যাপলের রিটেল স্টোর রয়েছে ডিসেম্বর ২০১৭ মোতাবেক। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মিউজিক রিটেইলার আইটিউন্স স্টোরও তারা পরিচালনা করে। জানুয়ারি ২০১৬ মোতাবেক, ১০০ কোটিরও বেশি অ্যাপল পণ্য বিশ্বব্যাপী সক্রিয়ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কোম্পানিটির প্রতি এক শ্রেণির খুবই উচ্চ পর্যায়ের ব্র‍্যান্ড লয়্যালিটি রয়েছে, এবং বারংবার বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ব্র‍্যান্ড হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। যাইহোক, অ্যাপলের চুক্তিবদ্ধ প্রস্তুতকারীদের শ্রমনীতি, তাদের পরিবেশ ও ব্যবসায় নীতি, কাঁচামালের উৎসের জন্যে কঠোরভাবে সমালোচিত হয়েছে।
এপেল একটি কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এপেল সাধারনত কম্পিউটার তৈরি করে থাকে যা i Mac, Mac mini, Mac Book, Mac Book Air, Mac Book Pro, এবং Mac Pro নামে পরিচিত। এছাড়াও এপেল বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস তৈরি করে থাকে যেমন iPod, iPhone এবং i Pad।
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার তৈরিতে এপেল জনপ্রিয়তা পেলেও, এপেল সফটওয়্যারও তৈরি করে থাকে। যেমন Mac OS X অপারেটিং সিস্টেম, iWork, Aperture, Logic Studio এবং Final Cut Studio। এপেলের রয়েছে অনলাইন স্টোর, যেমন iTunes Store, App Store, এবং the new Mac App Store। এই সকল সাইট থেকে আপনি বিভিন্ন মিডিয়া ফাইল এবং আপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে পারবেন।
এছাড়া ইন্টারনেট ব্রাউজার সাফারি এবং মোবাইল ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আইওএস তৈরী করে। ২০১০ সালের আগষ্ট মাসে প্রতিষ্ঠানটি ১০টি দেশের ৩০১টি রিটেইল স্টোর এবং নিজস্ব অনলাইন স্টোরে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার বিক্রি করে থাকে। মাইক্রোসফটের পাশাপাশি ২০১০ সালে মে মাস পর্যন্ত অ্যাপল বিশ্বের সেরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।এপেল এর সদর দপ্তর ক্যালির্ফোনিয়ার মধ্য সিলিকন ভ্যালীতে অবস্থিত। ৮৫০,০০ বর্গ ফিট জায়গাতে ৬টি বিল্ডিংয়ে অ্যাপলের বর্তমান সদর ১৯৯৩ সালে থেকে অবস্থান করছে।

একাউন্ট ডিএক্টিভেট/ডিলিট করবেন কিভাবে?

বিভিন্ন কারণেই ফেসবুক একাউন্ট ডিএক্টিভেট করার প্রয়োজন হতে পারে। ফেসবুক একাউন্ট সাময়িকভাবে ডিএক্টিভেট করা যায় অথবা চাইলে সম্পূর্ণরূপে ডিলিট করে দেয়া যায়।
কিভাবে একাউন্ট ডিএক্টিভেট করা যায়?
১। ফেসবুকের মেনু বাটনে ক্লিক করে settings এ যেতে হবে।
২। settings থেকে security অপশনে গিয়ে ‘Deactivate your account’ এ যেতে হবে।
৩। সেখানে আপনার কাছে পাসওয়ার্ড চাওয়া হবে।
৪। পাসওয়ার্ড দিলে আপনাকে ‘reason for leaving’ অপশনের মাধ্যমে ফেসবুক ডিএক্টিভেট করার কারণ জানতে চাওয়া হবে।
৫। কারণ সিলেক্ট করে ‘deactivate’ বাটনে ক্লিক করলেই আপনার একাউন্ট ডিএক্টিভেট হয়ে যাবে।

একাউন্ট ডিএক্টিভেট করা হলে অন্য কেউ ফেসবুকে আপনাকে খুঁজে পাবেনা অথবা আপনার একাউন্ট দেখা যাবেনা। যদিও বন্ধুদের কাছে আপনার পাঠানো মেসেজ দেখা যেতে পারে।
যদি আপনি ফেসবুকে ফেরত আসতে চান, তবে রিএক্টিভেট করার জন্য আলাদা কিছুই করার প্রয়োজন নেই। শুধু ফেসবুক এ গিয়ে আগের মতন ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিলেই একাউন্ট পুনরায় এক্টিভ হয়ে যাবে। এবং একাউন্ট এর সকল তথ্যও অপরিবর্তনীয় থাকবে।
কিভাবে একাউন্ট ডিলিট করা যায়?
একাউন্ট ডিলিট করার আগে প্রয়োজনীয় ডাটা সেভ করতে চাইলে account > general এ গিয়ে ‘download a copy’ অপশন এর মাধ্যমে আপনার প্রয়োজনীয় ডাটা সেভ করে নিতে হবে।
১। একাউন্ট ডিলিট এর পেইজটি স্বাভাবিকভাবে খুঁজে পাওয়া যায় না। ফেসবুকের মেনুতে ‘help’ পেইজে এটি খুঁজে নিতে হয়। অথবা এই লিঙ্ক এ গেলেও পাওয়া যাবে https://www.facebook.com/help/delete_account । ডিলিট পেইজে গিয়ে ‘Delete My Account’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এর পর যে নতুন উইন্ডোটি আসবে তাতে নিজের পাসওয়ার্ড এবং ক্যাপচা পূরণ করে Ok ক্লিক করতে হবে।
৩। ফেসবুক একাউন্ট ডিলিট হওয়ার জন্য ১৪ দিন সময় প্রয়োজন হবে। এই সময়টুকু একাউন্টটি ডিএক্টিভেট হয়ে থাকবে। এই সময়ের ভেতর চাইলে পুনরায় লগইন করে একাউন্ট রিএক্টিভেট করে ফেলা যাবে। এই সময়ের মধ্যে যদি একাউন্ট রিএক্টিভেট না করা হয় তবে ১৪ দিন পর আপনার একাউন্টটি চিরতরে ডিলিট হয়ে যাবে।

১৬ ধরণের ভিডিও আইডিয়া


এক মিনিটের একটি ভিডিও ১.৮ মিলিয়ন শব্দের সমান অর্থবহতা রাখে ।প্রতি মিনিটে ইউটিউবে ৭২ ঘণ্টা সমপরিমানের ভিডিও আপলোড করা হয় এবং প্রতি মাসে ইউটিউবে ৩ বিলিয়ন ঘণ্টার সময়ের ওপর ভিডিও দেখা হয়। “ফরেস্টার রিসার্চার” জেমস ম্যাককিউবে’র মতে, সিসকো’র ভবিষ্যতবানী অনুযায়ী , যে হারে ভিডিও এর পরিমান বাড়ছে , এভাবে বাড়তে থাকলে ২০১৯ সালে প্রতি মাসের ভিডিও দেখতেই শুধু ৫০০০০০০ বছরের বেশি সময় লাগবে ।

 প্রমো ভিডিও
প্রমো ভিডিও প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম , প্রতিষ্ঠান কি ধরণের প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করে এবং এ প্রোডাক্টগুলো কি কাজে ব্যবহৃত হয় তা আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করে টিভি ভিডিও কিংবা অনলাইনে প্রচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে সকলের কাছে ব্র্যান্ডিং ও পরিচিত করে ।

 ইন্টারভিউ ভিডিও
প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত এবং কর্মক্ষেত্রে দক্ষ মানুষদের সাথে ভবিষ্যতের সমস্যা -সম্ভাবনা এবং তাদের সফলতার কথোপকথন নিয়ে ইন্টারভিউের ভিডিও তৈরি করে তা প্রচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং করা যায় ।

 লাইভ ওয়েবকাস্ট
লাইভ স্ট্রিমিং কিংবা ওয়েব টিভি শো বেশ জনপ্রিয় মাধ্যম মানুষের কাছে পৌঁছানোর , বিভিন্ন জায়গায় ঘটে যাওয়া উদ্ভুত ও রহস্যময় বিষয় লাইভ প্রচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে পরিচিত করা হয় ।

 ভিডিও পাওয়ার পয়েন্ট
পাওয়ার পয়েন্টে কোন মেসেজ কিংবা তথ্য দিয়ে প্রোডাক্ট কিংবা প্রতিষ্ঠানের ভিডিও সহজে করা হয়ে থাকে ।

 টিপস ভিডিও সিরিজ
অনলাইনে বিভিন্ন ভিডিও বিনিময় সাইট যেমন , ইউটিউবের মতন অনলাইন সাইটগুলোতে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে টিপস কিংবা সাহায্যকারী তথ্য দিয়ে ভিডিও সিরিজ করা হয়ে থাকলে , সেই প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে মানুষের মনে একটা বিশ্বাসযোগ্যতা সৃষ্টি হয় ।

 প্রোডাক্ট ভিডিও রিভিউ
প্রোডাক্টটি কি উপকরণ দিয়ে তৈরি , কি জন্যে এ প্রোডাক্ট সকলে ব্যবহার করবে এবং এর ভালো – মন্দ গুণাগুণ তুলে ধরে প্রোডাক্ট ভিডিও রিভিউ তৈরি করা হয় এবং অনলাইন ভিডিও সাইটে তা দেয়া হলে একজন ক্রেতা সেই প্রোডাক্ট কেনার আগে তা সম্পর্কে জানতে পারে ।

 প্রোডাক্ট ব্যবহারকারীর প্রশংসামূলক ভিডিও
একজন ক্রেতা একটি প্রোডাক্ট কেনার পর ব্যবহার করে যদি সেই প্রোডাক্ট এর ব্যাপারে সন্তুষ্ট হয়ে থাকে, তবে সেই ক্রেতার প্রোডাক্ট বিষয়ে ভালো লাগা মতামত নিয়ে প্রশংসামূলক ভিডিও নিজেদের ব্র্যান্ডিং এর জন্যে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে থাকে এবং ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করে থাকে । এতে করে ভিডিও দেখে প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আরও বেশি মানুষ আস্থা রাখতে শুরু করে ।

 প্রোডাক্ট উৎপাদনকালীন প্রদর্শিত ভিডিও
ক্রেতার কাছে প্রোডাক্ট এর গ্রহণযোগ্যতা এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা আনার জন্যে প্রোডাক্ট উৎপাদনকালীন সময়ের ভিডিও নিয়ে ভিডিও নির্মাণ করে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করা হয় ।

 এক্সপার্টদের প্রশ্ন-উত্তর ভিডিও
সংশ্লিষ্ট প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভালো জ্ঞান আছে এবং সে সম্পর্কে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কথা বলে থাকে এইরকম দক্ষ প্রশিক্ষকদের প্রশ্ন-উত্তরের ভিডিও বিভিন্নজনদের সাথে শেয়ার করা যায় ।

 ফটো টেক্সট ভিডিও
ভিডিও টুল দিয়ে কিছু ফটো ব্যবহার করে মিউজিক ও টেক্সটসহ ফটো টেক্সট ভিডিও করা যায় ।

 ভিডিও এনিমেশন
ভিডিও এনিমেশন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কার্যকর একটি উপায়, ওয়াইটবোর্ড এনিমেশন সিস্টেমে কোম্পানির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ক্রেতাদের কাছে নতুনত্বের আভাস দিয়ে চমক দেয়া যায় । এতে লিখে লিখে বিভিন্ন বিষয় এবং ছবি ক্রেতাদের কাছে উপস্থাপিত হয়,এতে করে এ ভিডিও মার্কেটিং অনেক বেশি সাড়া জাগাতে সক্ষম ।

 ওয়েলকাম ভিডিও
বিভিন্ন সময় দেশ-বিদেশে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেকের সফলতার খবর পাওয়া যায় , তাদেরকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্যে শুভেচ্ছা ভিডিও নির্মাণ করা হয়ে থাকে ।

 প্রোডাক্ট টিউটোরিয়াল ভিডিও
রান্না বিষয়ক কোন প্রোডাক্ট থাকলে তবে সেই প্রোডাক্ট নিয়ে রান্নার কোন রেসিপি’র ভিডিও টিউটোরিয়াল নির্মাণ করা যায় । যা ইউটিউবের মতন অনলাইন ভিডিও সাইটগুলোর মাধ্যমে পৌঁছানো হয়ে থাকে এবং মানুষের কাছে প্রোডাক্ট ও প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বৃদ্ধি করা হয় ।

 কর্পোরেট ভিডিও
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ক্রেতা এবং দেশ-বিদেশে ব্যবসায়িক পরিচিতির বৃদ্ধির জন্যে কর্পোরেট ভিডিও তৈরি করা হয় ।

 উৎসবকেন্দ্রিক ভিডিও
বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে তৈরি করা যায় উৎসবকেন্দ্রিক ভিডিও বিজ্ঞাপন।যাতে উৎসবের কথা, উৎসবের আমেজকে তুলে ধরে মানুষের কাছে মেসেজ দেয়া হবে ।

 বিনোদনমূলক ভিডিও
সবসময় প্রোডাক্ট বিক্রি নিয়ে ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর জন্যে ভিডিও না করে মাঝে মাঝে ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে বিনোদনমূলক ভিডিও তৈরি করা হয় । এতে করে প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিরক্তবোধের কোন বিষয় তৈরি হয়না , বরং একটা ভালো লাগা সৃষ্টি হয় ।

প্রশ্ন এবার আপনার কাছে ! ! ! ! আপনি ভিডিও তৈরির আইডিয়া কোনটি বাছাই করেছেন ? ? ? ? ?

নিরাপদ থাকতে চাইলে জানতে হবে ।

ha
আজকাল আমরা যারা হ্যাকিং এর শিকার হচ্ছি আমাদের ভুলের কারণই হচ্ছি । আমরা প্রয়োজনে / অপ্রয়োজনে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যগুলো অনলাইনে শেয়ার করে থাকি । যেগুলো থেকে হ্যাকাররা তথ্য সংগ্রহ করে আমাদেরকে এটাক করার চেষ্টা করে । তাই আজকে আমরা জানবো কোথায় থেকে হ্যাকাররা তথ্য সংগ্রহ করতে পারে? সাথে সাথে আমরা কিভাবে নিজেকে সিকিউয়ার করবো-
কিভাবে হ্যাকাররা তথ্য সংগ্রহ করে বা কোথায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যায়? রেকোননাইসেন্স হলো তথ্য সংগ্রহ করা । অর্থাৎ আপনি যে সিস্টেমকে হ্যাকিং করতে যাচ্ছেন সেই সিস্টেম এর তথ্য সংগ্রহ করা । বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করা যায় । যেমন-
হও ইজ (Whois ):
whois এর মাধ্যমে আমরা কোন ওয়েব সাইটের সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পারি । যেমন-ডোমেইন এর নেইম সার্ভার, রেজিষ্টারড ইমেইল এড্রেস, মোবাইল নাম্বার, যোগাযোগের ঠিকানা ইত্যাদি । এখন মনে করি, তিতাস সরকারের সকল তথ্য আমার প্রয়োজন । তাহলে আমি যদি ওহ ইজ (Whois ) এ গিয়ে titassarker.com দিয়ে সার্চ দেই তাহলে সকল তথ্য বের হয়ে আসবে ।
ওয়েবসাইট (Website)
তথ্য সংগ্রহ করার আরেকটি সোর্স হলো ওয়েবসাইট । কারণ সাধারণত কম্পানি বা ব্যক্তির সকল তথ্য আমরা ওয়েবসাইটে দিয়ে থাকি ।
আড়ি পাতা (Eavesdropping)
Eavesdropping হলো আড়িপাতা । আমরা অনেক সময় বলি না দেয়ালের কান আছে । অর্থাৎ দেয়ালের অপরপ্রান্তে কেউ রয়েছে যে হয়তো আপনার কথা শুনছে । এই কাজটি সাধারণত বেশিরভাগ করে থাকে অফিসের পিয়ন বা কাজের বোয়া । উনারা অল্প টাকার জন্য দেখবেন আড়িপেতে সবকথা শুনে আপনাকে সব তথ্য দিয়ে দিবে ।
সৌল্ডার সার্ফিং (Shoulder surfing)
সৌল্ডার সার্ফিং হলো উকি দিয়ে দেখা । এই কাজটি সাধারণত বেশিরভাগে ক্ষেত্রে দেখবেন আপনার দুষ্টপ্রকৃতির কলিগরা করে থাকে । অর্থাৎ আপনি অনলাইনে কি করছেন তা দেখার জন্য অধিক আগ্রহ । আপনি কোন সাইট ভিজিট করছেন, কি কাজ করছেন তা দেখার জন্য অধিক আগ্রহ । উনাদের কাজ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা যায় ।
ডাম্পস্টার ডাইভিং (Dumpster diving)
ডাম্পস্টার ডাইভিং হলো আমরা অনেক সময় কাজ শেষে আমাদের ডকুমেন্টগুলো ফেলে দেই । কিন্তু দেখা যায় এই ডকুমেন্টগুলোতে অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য লেখা থাকে । যেমন- কোন কম্পানির আর্থিক লেনদেন, ক্লায়েন্ট লিষ্ট ইত্যাদি । এই ডাম্প ফাইলগুলো সংগ্রহ করে তথ্য সংগ্রহ করা যায় ।
ই-মেইল ডিটেকশন (Email detection)
ইমেইল ডিটেকশন এর মাধ্যমে একটি কম্পানি কোন কোন ক্লায়েন্ট এর সাথে যোগাযোগ করে সেই তথ্য খুব সহজেই সংগ্রহ করা যায় ।
বোকা কর্মী (Fool employee)
অনেক সময় অফিসে বোকা টাইপের কিছু কর্মী থাকে । ওদের থেকে খুব সহজেই অফিসের অনেক তথ্য সংগ্রহ করা যায় । ওদের সাথে যে কাজটা করতে হয় সেটা হলো শুধু ওদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হয় ।
অসন্তুষ্ট কর্মী (Dissatisfy employee)
অখুশি কর্মচারী অর্থাৎ যেসব কর্মচারী কম্পানিতে কাজ করতে সাচ্চান্দবোধ করছে না তাদের কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা যায় ।
গুগল ম্যাপ (Google map)
গুগল ম্যাপে আমরা অনেক সময় অফিসের ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার এইগুলো দিয়ে থাকি, যেন যে কেউ সহজেই অফিস গুগল ম্যাপ থেকে বের করতে করতে পারে । তাই হ্যাকাররা সহজেই গুগল ম্যাপ থেকে তথ্য সংগ্র করতে পারে ।
সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম (Social networking sites)
আজকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তো আমরা সবাই কম বেশি শেয়ার করি । অর্থাৎ অফিসে নতুন ক্লায়েন্ট আসলো অথবা কোন ক্লায়েন্ট চলে গেল সবকিছুই আমরা শেয়ার করে থাকি । ফলে হ্যাকাররা খুব সহজেই এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থা সর্ম্পকে একটি স্পষ্ট ধারণা নিতে পারে । এখানে এই ছবিটি দেখেন পাসপোর্ট এর ছবিটিই উনি ফেইজবুকে শেয়ার করে দিয়েছেন ।
উইকিপিডিয়া (Wikipedia)
ভাল ভাল কম্পানি অথবা ব্যত্তিবর্গের তথ্যসমূহ উইকিপিডিয়াতে খুব সহজেই পাওয়া যায় । তাছাড়া উইকিপিডিয়াতে যে তথ্যগুলো থাকে তা বেশিরভাগেই সত্য । কারণ উইকিপিডিয়া এর তথ্যগুলো অনেক ভেরিফাই করার পর প্রকাশ করা হয় । সুতরাই এখান থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা যায় ।
চাকরির ঠিকানা (Job sites)
জব সাইটগুলোতে আমরা অফিসের ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার এগুলো শেয়ার করে থাকি । ফলে যাদের এই তথ্যগুলো প্রয়োজন সহজেই সংগ্রহ করতে পারে । আবার হ্যাকাররা জবে এপ্লাই করে জব ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য আপনার অফিসে চলে আসতে পারে এবং তথ্য সংগ্রহ করতে পারে ।
কিভাবে হ্যাকার এর কাছ থেকে নিজেকে/কম্পানিকে সিকিউয়ার করা যায়?
  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো অফিসে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে ।
  • সার্ভারগুলো চেক করতে হবে কোন সাভির্স অথবা পোর্ট ওপেন আছে কি না । যদি থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে ।
  • সকল কর্মীদেরকে নিয়ে নিরাপত্তা সচেতনতা মূলক প্রোগ্রাম করতে হবে ।
  • অনলাইনে তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সর্তক থাকতে হবে ।
  • Whois এ প্রাইভেসি সার্ভিস অন রাখতে হবে ।
  • সেনসেটিভ ডাটা ইনক্রেপ্টেড পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখতে হবে ।

অবশেষে গুগল লঞ্চ করতে যাচ্ছে তাদের অন্যতম

44943458_2160545257502904_1284292261995085824_n
প্রযুক্তিপন্য # ইন্টারনেট_ব্যাংক । গুগলের CEO “সুন্দর পিচাই”
জানান, পাওয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে যেভাবে ইলেক্ট্রিসিটি
সংরক্ষন করে রাখা যায়। ঠিক সেভাবেই এটির মাধ্যমে
যেকোনো ব্রডব্যান্ড থেকে ইন্টারনেট সংরক্ষন
করে রাখা যাবে। এটির মাধ্যমে যেসব দুর্গম জায়গায়
ইন্টারনেট পাওয়া যায় না, সেসব যায়গায় উচ্চগতির ইন্টারনেট
সার্ভিস গ্রহণ করা সম্ভব হবে। আপাতত বেটা ভার্শন
হিসেবে ১৫০ জিবি পর্যন্ত ডাটা সেভ করে রাখা যাবে এটির
মাধ্যমে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে ১ টেরাবাইটের
পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যাংক বাজারে আনবে গুগল।। এবং
বিশ্বের ১০০ টির ও বেশি দেশের বাজারে একযোগে
এটি পাওয়া যাবে। গুগলের CEO আরো জানান, এটি সাধারণত
মধ্যবিত্তদের কথা মাথায় রেখে বাজারে ছাড়া হচ্ছে,
যেটির মুল্য 65$ ডলারের কাছাকাছি থাকবে (বাংলাদেশী
টাকায় 5500/- এর মতো) । এবং খুব তারাতারি এটি পুরো
বিশ্বের প্রযুক্তি বাজারে সাড়া ফেলতে সক্ষম হবে বলে
আশা করা যায়।

মার্কেটিং নয় যেন টাকা ছাপানোর লাইসেন্স হাতে পাওয়া !

44929192_1913357402112706_4318216559563636736_n

এই টা সেই পদ্ধতি যা Amazon প্রয়োগ করে Ecommerce জগতে রাজত্ব করে , McDonald করে hamburger জগতে , Starbucks করে Coffee জগতে । এই পদ্ধতি কাজ করে ছোট থেকে মাঝারী এমন কি বড় বড় কোম্পানির জন্য । এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় যে কোন পণ্য বা সেবা চাই সেটা Traditional বা Digital হোক ।

বিক্রয় অনেক গুনে বাড়াতে ৩ টি সুত্র কাজ করে ।

১। গ্রাহক এর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকা ।
২। প্রত্যেক গ্রাহক এর নিকট গড়ে বেশী সংখ্যক পণ্য বিক্রয় নিশ্চিত করা ।
৩। এক গ্রাহক কে বার বার ক্রয় করতে উদ্বুদ্ধ করা ।
আপনি যখনই নতুন নতুন টিপস শিখছেন Facebook Advertising, Google Analytics, SEO এর ব্যাপারে তখন যদি এই পথ অবলম্বন না করে থাকেন তাহলে আপনি আপনার মূল্যবান সময় আর কষ্টার্জিত টাকা নষ্ট করছেন ।

ধাপ গুলি হচ্ছে ৭ টি।
১। Product নির্ধারণ বা Market Fit করা ।
২। Traffic Source নির্বাচন করা ।
৩। Lead Magnet অফার করা ।
৪। Tripwire অফার করা ।
৫। Core Product অফার করা ।
৬। Profit Maximizer অফার করা ।
৭। Return Path তৈরি করা ।

প্রথম ধাপ Product নির্ধারণ বা Market Fit করা ।

আমাদেরকে সাধারণত গ্রাহকরা মূল্য পরিশোধ করে থাকে তাদের পণ্য বা সেবা গ্রহন এর পূর্বের “Before” যন্ত্রণাদায়ক অবস্থা থেকে পণ্য বা সেবা গ্রহণ এর মাধমে “After” বা তাদের কাঙ্ক্ষিত অবস্থা অর্জন এর জন্য ।
পণ্য বা সেবা গ্রহণ এর পূর্বে গ্রাহক অসন্তুষ্ট থাকে , বিরক্ত থাকে , যন্ত্রনায় থাকে , ভীত থাকে, অখুশি থাকে আর ও অনেক কিছুই হতে পারে ।

পণ্য বা সেবা গ্রহণ এর পরে গ্রাহক এর জীবন তুলনামূলক বেশী ভাল আর ও বেশী সহজ , তাকে বন্ধুদের মাঝে সম্পূর্ণ আলাদা দেখাচ্ছে , তার বয়স অনেকটা কম মনে হচ্ছে , যন্ত্রনা থেকে মুক্তি , চিন্তামুক্ত , বিনোদিত , ভীত নয় যা তাকে কুরে কুরে খাছিল্ল আর ও অনেক কিছু ।
গ্রাহকরা পণ্য বা সেবা ক্রয় করে না তারা ক্রয় করে ফলাফল তারা ক্রয় করে পণ্য বা সেবা গ্রহণ এর পরের অবস্থা । একটি অনন্য পণ্য বা সেবা অবশই তার গ্রাহক কে পরের অবস্থা (ক্রয় এর পরে) অনুভব করতে বাধ্য করবে ।

আর অনন্য মার্কেটিং অবশই গ্রাহক কে তার ক্রয় এর পূর্বের অবস্থা থেকে ক্রয় এর পরের অবস্থা কল্পনা করতে বাধ্য করবে ।

অনেক কম্পানি সেটা করতে অপারগ হয় সেটা হয়ত বেবসার শুরু এর কারনে বা নতুন মার্কেট এর কারনে । তা ঘটে থাকে মূলত ২ টি কারনে ।
১। পণ্য বা সেবা ক্রয় এর পরের কাঙ্ক্ষিত অবস্থা অনন্য উপায়ে উপস্থাপন না করতে পারা ( ভাল অফার না করা ) ।
২। গ্রাহক পূর্বের অবস্থা থেকে পরের অবস্থাই কত সহজেই উন্নিত হতে পারে তা বুঝাতে অক্ষম হওয়া ( ভাল মার্কেটিং না বুঝা ) ।

কোন পণ্য বা সেবা অফার করার পূর্বে যে ৮ টি ব্যাপার নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে ।
১। সম্ভাবনাময় গ্রাহক ক্রয় এর পূর্বে কি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে আর ক্রয় এর পরে কি সমাধান পাচ্ছে
২। ক্রয় এর পূর্বে এবং পরে কি Feel করে ?
৩। ক্রয় এর পূর্বে স্বাভাবিক দিন কেমন ছিল আর ক্রয় এর পরে স্বাভাবিক দিন কেমন ।
৪। ক্রয় এর পূর্বে গ্রাহক এর STATUS কেমন ছিল এবং ক্রয় এর পরে কেমন হবে ।

যেমন ধরা যাক squishy baby bath tub সেটা কে sink এ রেখে বা বড় bathtub এ রেখে
বাচ্চা কে গোসল করানো । এই টা বাচ্চা কে আরামদায়ক এবং নিরাপদ রাখবে যখন তার পিতা মাতা তাকে গোসল দিবে ।
আপনি যদি একজন পিতামাতা হন তবে নিশ্চয় জানেন যে বাচ্চা কে গোসল দেয়া কত টা ভয়ংকর এবং হতাশার অভিজ্ঞতা ।

যে গ্রাহক এই নরম , নিরাপদ bathtub ক্রয় করবেন বিনিময়ে তিনি যা পাবেন তা হল ঃ

১। ঠাণ্ডা , শক্ত bathtub এর পরিবর্তে উষ্ণ , নরম bathtub ।
২। ভীত , হাতাশা এর পরিবর্তে আত্মবিশ্বাসী , নিয়ন্ত্রন নিজের হাতে সেটা অনুভব করবে ।
৩। বাচ্চা কে গোসল করানো বাজে অভিজ্ঞতা থেকে মুক্তি দিয়ে সাচ্ছন্দে করানো যায় সে অভিজ্ঞতা দিবে ।
৪। সমাদর হীন মা থেকে super mom এর ফিলিং দিবে ।

সাধারন marketers বলে পণ্য বা সেবা ক্রয় করলে কি পাবে । তবে মহান marketers বলে পণ্য বা সেবা ক্রয় এর পরে তারা কেমন অনুভব করবে , তাদের স্বাভাবিক জীবনে কি পরিবর্তন আনবে , তাদের জীবন মান কিভাবে উন্নত করবে ।

“নতুন জন্ম” নেয়া শিশু এর “গোসল সময়” আর ভীত , হাতাশা এর সময় নয় ।
গোসল এর দুশ্চিন্তা কে বাই বাই বলেন আর আরামদায়ক , নিরাপদ , নরম বাথতাবে গোসল করা কে এঞ্জয় করেন । Mother of the Year ফিল করেন কারন আপনার বাবু এই বাথতাবে খেলছে আর গোসল করছে ।
আপনি কি ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন এই লাইন গুলি কেমন একজন সাধারন মা কে অসাধারণ হয়ে উঠার গল্প বলে ।

এখন দেখা যাক আপনার পণ্য বা সেবার মূল্য কত হবে ?

পণ্য বা সেবা ক্রয় এর পূর্বের অবস্থা আর পরের অবস্থা এর ” দূরত্ব ” কতটুকু ?
এই ” দূরত্ব ” হচ্ছে মূল্য ।

আপনার পণ্য বা সেবার মূল্য বেশী করতে চান ?
তাহলে ক্রয় এর পূর্বের অবস্থা থেকে পরের অবস্থার ” দূরত্ব ” বাড়িয়ে নিন ।
সেটি ২ টি উপায়ে হতে পারে ঃ
১। পণ্য বা সেবার মান অনন্য করার মাধ্যমে । (better offer)
২। অনন্য উপায়ে বা পরিষ্কার ভাবে বুঝাতে সক্ষম হওয়া যে আপনার পণ্য বা সেবা গ্রাহক এর জীবন মান উন্নত করতে কতটা সহায়ক । (better marketing)

যখনই আপনি নতুন অফার , নতুন কোম্পানি , বা নতুন মার্কেট এ যাবেন তার আগে এই সিম্পল ব্যাপারটি মাথায় রাখবেন সেটা হল । আপনার পণ্য বা সেবা ক্রয় এর পূর্বের অবস্থা এবং পরের অবস্থা । আপনি যদি যথাযথ উপায়ে সম্ভাব্য গ্রাহক কে তা তুলে ধরতে না পারেন তবে বুঝতে হবে যে আপনার Product/Market Fit এ সমস্যা আছে । Product/Market Fit এর চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু হতে পারে না ।

দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে Choose a Traffic Source ঃ

আপনি হয়ত অবাক হতে পারেন কারন ট্রাফিক আপনার সমস্যা না ।
আপনার হয়ত business model সমস্যা আছে , offer সমস্যা আছে , বা measurement সমস্যা আছে তবে ট্রাফিক সমস্যা নাই ।

আমি যদি বলি যখনই আপনার web page এ একজন ভিজিটর আসবে তখন আপনি ২০০ টাকা লাভ করবেন ? আপনি কি আপনার web page এ ভিজিটর পাবেন?
ব্যাপারটা হচ্ছে ধরে নিন ৫ জন ভিজিট করল আপনার web page ৩ জন পছন্দ করল ২ জন ক্রয় করতে চাইল শেষমেশ একজন ক্রয় করল আপনি লাভ করলেন ১০০০ টাকা তার মানে প্রতি ভিজিটর এ আপনার লাভ ২০০ টাকা । এই ৫ জন ভিজিট না করলে ১ জন ও ক্রয় করত না । তাই এই ৫ জন ই আপনার নিকট গুরুত্বপূর্ণ শুধুমাত্র যে ক্রয় করল সে না ।

আপনি হয়ত প্রত্যেক ভিজিটর কে পেতে ২০০ টাকা খরচ করতে পারেন এমন কি তার ও বেশী আপনার শুরু পর্যায়ে যদি আপনি Customer Value Optimization বুঝে থাকেন ।

Jeff Bezos, বলেন Founder এবং CEO Amazon.com এর ঃ
“Your margin is my opportunity.”

আমরা যা শিখলাম তা হল Customer Value Optimization । অ্যামাজন খুব কম লাভে অনেক সময় লস দিয়ে বিক্রয় করে থাকে নতুন গ্রাহক পাবার জন্য । যারা পরবর্তীতে ক্রয় করবে বার বার ফিরে আসবে আর তখনই অনেক গুনে বিক্রয় বাড়বে ।

ট্রাফিক সমস্যা ঃ

Google, Facebook, Pinterest, Twitter এবং LinkedIn যে খানেই হোক না কেন আপনার গ্রাহক সম্পর্কে সু নিশ্চিত ধারণা থাকতে হবে কারন আপনার Search Engine Optimization এজেন্সি অনেক ট্রাফিক দিবে আপনার Pay-Per-Click এজেন্সি অনেক ক্লিক দিবে । তবে যে ট্রাফিক এবং যে ক্লিক আপনাকে বিক্রয় বেশী দিবে সেটা আপনাকে ( আপনার মার্কেটিং এজেন্সি ) নিশ্চিত করতে হবে । আর সেটা জানতে ২ টি ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে তা হল ।
১। কি ভাবে পরিমাপ করা যায় কোন ট্রাফিক আপনাকে বিক্রয় বেশী দিবে ?
২। কোন ট্রাফিক সাথে সাথে বিক্রয় নিশ্চিত করবে ?
আমরা আপনাকে ধারণা দিতে পারি কিভাবে বেশী ট্রাফিক পাওয়া যায় blogging, Facebook Ads, এবং email marketing এর মাধ্যমে । তবে প্রথম কথা হল আপনাকে কে প্রক্রিয়া জানতে হবে ।
প্রথমে একটি traffic source এর বস হতে হবে তার পরে আরেকটি আবারো আরেকটি এই ভাবে চলতে থাকবে ।
traffic source হতে পারে ঃ
# Email marketing
# Social Advertising (Facebook/Twitter/YouTube ads, etc)
# Banner Advertising
# Blogging
# Organic Social Media
# SEO

ট্রাফিক ই নিশ্চিত করবে নতুন গ্রাহক , একই গ্রাহক এর একক সময়ে অধিক ক্রয় , একই গ্রাহক এর বার বার ক্রয় ।
আর সেটা করতে দরকার Lead Magnet

তৃতীয় ধাপ হচ্ছে Lead Magnet অফার করা ।

এই ২ টি (Offer a Lead Magnet এবং Offer a Tripwire) ধাপে আপনাকে দেখান হবে কিভাবে
Jay Abraham এর পদ্ধতি প্রয়োগ করে খুব ” দ্রুত ” গ্রাহক বাড়ানো যায় । Lead Magnet হল ” “একটি হার না মানা ঘুষ সুনিশ্চিত পরিবর্তন সাধন এর বিনিময়ে সম্ভাব্য গ্রাহক এর যোগাযোগ এর তথ্য যোগাড় করা ” ।
ভুল করবেন না যদিও Lead Magnet এ অর্থের লেনদেন ঘটে না তদুপরি ইহা আপনার সম্ভাব্য গ্রাহক এর সাথে প্রথম লেনদেন ।

Lead Magnet এর সাথে ” অসাধারণ মান ” বিলিয়ে দিতে হবে ।
Lead Magnet হচ্ছে ” আপনার web page এ landing অথবা squeeze page যা কেও যদি ভুলবশত আপনার web page এ এসেও থাকে তাকে ও আপনার সম্ভাব্য গ্রাহক হতে বাধ্য করবে ।

landing page খুব ফেন্সি হতে হবে এমন কিছু না ( যেমন আমাদের মার্কেটিং এজেন্সির সম্ভাব্য গ্রাহক দের জন্য দিতে পারি The ultimate list of blog post Idea ইমেজ টা এই খানে দেয়া যাচ্ছে না ।

তবে সব Lead Magnets সমান ভাবে কাজ করে না তবে সব চেয়ে কার্যকারী Lead Magnets এর জন্য যা থাকা জরুরী তা হল ঃ

নির্দিষ্টতাঃ
হার না মানা কি ঘুষ দিতে চান আপনার সম্ভাব্য গ্রাহক কে তার যোগাযোগ এর তথ্য প্রদানের
বিনিময়ে । সু সংবাদ হল সেটা খুব বেশী কঠিন বা দীর্ঘ হওয়া জরুরী নয় ।
বলা যেতে পারে এই টা খুব কার্যকারী Lead Magnet হবে না যেমন ” subscribe for our newsletter”
এই খানে বিশেষ ভাবে কিছু বলা হয় নাই ।

আরেকটা Lead Magnet হল ” Get free update + my 20 week e course 101 marketing ”
( ইমেজ দিতে পারলে সহজে বুঝা যেত ) এই খানে অফার টা ভাল তবে specific না এবং দীর্ঘ মেয়াদী
সম্ভাবনাময় গ্রাহক ২০ সপ্তাহ ব্যাপী কোর্স চাই না তারা চাই সমস্যার সমাধান , তারা চাই ফলাফল ।

Lead Magnet যেমন হওয়া চাই তা হল ” Grow enough food to feed a family of 4 In just four
Squre feet of space – even if you dont have a yard ”

এমন একটি Lead Magnet যে খানে specific সমস্যার specific সমাধান যেমন দেখুন ” a family of 4 ” আবার ” just four Squre feet of space ” সব specific .

এই ভাবে অনেক লিড আশা করতে পারেন । আর যত লিড তত Tripwire বিক্রয় ।
চতুর্থ ধাপ হচ্ছে অফার a Tripwire ।

আপনি যদি এই ধাপ টি বুঝেন আর প্রয়োগ করেন তবে আপনার সব প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে এগিয়ে থাকবেন
স্মরণ করুন আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে ” গ্রাহক সংখা বৃদ্ধি করতে থাকা ” Lead Magnet এ যদিও আমরা লিড পেয়েছি মানে সম্ভাব্য গ্রাহক এর সাথে যোগাযোগ করার তথ্য পেয়েছি এবং তাদের সাথে লেনদেন হয়েছে । তারপরেও তারা আমাদের গ্রাহক এখনও হয় নাই ( যদিও একটা সম্পর্ক হয়েছে ) ।

Tripwire অফার টি তাদের জন্য যারা Lead Magnet এ আপনার প্রতি আগ্রহী হয়ে তাদের তথ্য দিয়েছে ।
Tripwire এমন একটি অফার যেটা কে এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব ( সেটা হতে পারে ১ টাকা থেকে ২০০০ টাকা ) Tripwire এর একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে সম্ভাবনাময় গ্রাহক কে গ্রাহক এ পরিণত করা ।

Tripwire এর কাজ হল সম্ভাব্য গ্রাহক এর সাথে ” সম্পর্ক ” উন্নিত করা চাই সেটা মাত্র ১ টাকা প্রদানের মাধ্যমে হোক ।
তবে মনে রাখতে হবে Tripwire এর অফার এমন হবে যাতে কেও না গ্রহণ করে থাকতে পারে না ।

Tripwire এর অফার সাধারণত এমন হয় যে দামে আপনি ক্রয় করেছেন সে দামে বিক্রয় করা বা তার থেকে কম দামে বিক্রয় করা ।
Tripwire বিক্রয় করে আপনি নিজের চলার খরচ এর চিন্তা করবেন না বরং চিন্তা করুন যে আপনি আপনার গ্রাহক লিস্ট তৈরি করছেন ।

আপনি যদি Customer Value Optimization বুঝেন ভালভাবে তবে দেখবেন Tripwire বিক্রয় কত শক্তিশালী করবে আপনার কোম্পানি কে যদিও কোন লাভ নেই এই বিক্রয় তে ।
Tripwire এর প্রকার ভেদ ঃ
# Physical products হলে ভাল হয় যেমন Bracelet , dress .
# বই হতে পারে ।
# software হতে পারে ।
# দাঁত সাদা করা হতে পারে dentist এর জন্য ।
# domain registration হতে পারে IT Firm এর জন্য

Tripwire এর পেছনে একটি কৌশল কাজ করে আর তাহলো Lead Magnet এ আগ্রহী কে গ্রাহক এ পরিণত করা । এবং পরের ৩ টি অফারের মাধ্যমে প্রচুর লাভ করা ।
যাইহোক আপনি বুঝে গেছেন কিভাবে নতুন গ্রাহক বানানো যায় । এখন দেখব একই গ্রাহক এর কাছে একক সময় এ কিভাবে বেশী থেকে বেশী বিক্রয় করা যায়্ ।

পঞ্চম ধাপ হচ্ছে Core Product অফার করা ।
এর মাঝে আপনি আপনার গ্রাহক এর সাথে ২ টি( Magnet এবং Tripwire) সফল লেনদেন করে ফেলেছেন তাতে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে । আপনি চাইলে এখন Core Product অফার করে লাভ করতে পারেন । তবে আপনি যদি Customer Value Optimization এর ফাইদা পুরোপুরি নিতে চান তাহলে এই খানেও লাভ না করে আপনার গ্রাহক বাড়াতে চাইবেন যেটা বুদ্ধিমান রা করে থাকে । আর এই ভাবেই আপনি আপনার মার্কেট এ অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবেন । কারন আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী

Core Offer করে কিছু লাভ করতে চাই বেঁচে থাকার জন্য । Jeff Bezos এর কথা স্মরণ করুন যে খানেই আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীর শেষ সে খানেই আপনার শুরু ।
এই টা আপনাকে অবাক করবে যে পৃথিবীতে সব থেকে বেশী সফল কোম্পানি গুলি লাভ করে পরের ২ টি অফারে ।

ষষ্ঠ ধাপ হচ্ছে Profit Maximizer অফার করা ।

Jay Abraham এর দ্বিতীয় মতবাদ হচ্ছে এক গ্রাহক এর নিকট সম্ভাব্য যত বেশী বিক্রয় করা যায় আর সেটাই হচ্ছে Profit Maximizer এর কাজ । অনেক কোম্পানি Tripwire অফার করে না বা Profit Maximizer পণ্য বা সেবা নাই শুধু শুধু Core অফার করে বাঁচা মরার লড়াই করে যায় । এই কারনে তারা হারবে আর আপনি জয়ী হবেন ।
আপনি অবাক হবেন hamburger বিক্রয় করে McDonald বলতে গেলে কোন লাভই করেন না

Hamburger তাদের Core Offer তবে fry এবং soda হচ্ছে তাদের Profit Maximizer ।
Best Buy বিক্রয় করে ল্যাপটপ আর TV বলতে গেলে কোন লাভ ছাড়াই তবে তাদের Profit Maximizer হল warranties, installation, এবং Geek Squad support ।

অ্যামাজন যা করে তাহলো Cross-Sell Profit Maximizer offer যখন কেও ক্রয় করে তখন তাকে দেখান হয় “People who bought this product, also bought that product” বিক্রয় বাড়াতে তারা করে থাকে এটাও Profit Maximizer offer । তবে অ্যামাজন এই কাজ টা অনেক ভাবেই করে থাকে যেমন “Frequently Bought Together” ।
প্রথম ক্রয় এর পরে যে অফারটা করা হয় সেটাই Profit Maximizer । কারন কোম্পানি গুলি একটি ক্ষেত্রে সব থেকে বেশী খরচ করে থাকে তাহলো Tripwire Offer নতুন নতুন গ্রাহক পাবার জন্য ।
যা সাথে সাথে বা সারা জীবনের জন্য গ্রাহক এর সাথে সম্পর্ক তৈরি করে ।

আপনি কিভাবে Tripwire , Core , Profit Maximizer অফার করবেন ?

আর একটি কৌশল আছে আপনার বিক্রয় বাড়ানোর জন্য তা হচ্ছে Return Path ।
সপ্তম ধাপ হচ্ছে Return Path তৈরি করা ।

শেষ কৌশল হচ্ছে আপনার গ্রাহক কে বার বার ক্রয় করতে বাধ্য করা ।

Return Path হচ্ছে ” মাঝে মাঝে কৌশল গত যোগাযোগ রক্ষা করা যাতে আপনার কোম্পানির প্রতি আগ্রহী বেক্তি বা গ্রাহক ঘুরে ঘুরে আপনার কাছে এসে ধরা দেয় ” ।

কারন আপনার কাছে এখন তাদের যোগাযোগ এর তথ্য আছে তাদের সাথে সফল ৪ টি( Lead Magnet, Tripware , Core , Profit Maximixer ) লেনদেন হয়েছে শুধু তাই নয় তাদের সাথে আত্মার
সম্পর্ক গড়ে উঠেছে ।
Return Path এর মাঝে যা থাকতে হবে ।
# Exit Offers
# Organic Social Media (like Twitter, Facebook, and LinkedIn)
# Loyalty Programs
# Content Marketing
# Outbound Sales Calling
#Ad Retargeting

এই ভাবে আপনি আবার শুরু থেকে তাদেরকে নতুন করে Lead Magnet, Tripware , Core , Profit Maximixer
অফার করতে পারেন কারন তাদের নিকট যাওয়ার এখন আপনার অনুমতি আছে । এই ভাবে যারা আপনার
নিকট থেকে ক্রয় করে নাই তাদের সাথে প্রয়োগ করতে পারেন । এই ছাড়া যারা আপনার কাছে ক্রয় করেছে তাদের কে আপনি নতুন পণ্য বা সেবা অফার করতে পারেন । আর এই প্রক্রিয়া সারা বছর চলতেই থাকবে আর আপনার বিক্রয় ও সারা বছর চলতেই থাকবে ।

Paragraph লেখার অভিনব কৌশল

মাত্র 6 টি Paragraph শিখে 300 Paragraph লেখা যায়।
****************************************************
S.S.C / H.S.C / Degree / University ভর্তি পরিক্ষাসহ যে কোন
প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষায় Paragraph একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয় ।
এখানে Paragraph লেখার একটি অভিনব কৌশল দেওয়া হলো ।
****************************************************
A Paragraph is a ———of some sentence on a specific topic
লিখনের সুবিধার জন্য্ Paragraph গুলোকে 6 টি ভাগে ভাগ
করতে পারি ।
****************************************************
যেমন : (i) Problem, (ii) Science, (iii) Person, (iv) Computer, (v)
Place , (vi) Incident
(i) Problem যেমন : Flood problem, Arsenic problem etc.
(ii) Science যেমন : Computer, Television, Radio etc.
(iii) Person যেমন : A Teacher, A Tourist Guide. A reporter etc.
(iv) Computer যেমন : Midesty , Tolerance, Braves etc.
(v) Place যেমন : Fish Market, Village Fair, Tea-stall etc.
(vi) Incident যেমন : Your Memorable Day, Street Accident etc
(vii) Any kind of Fair যেমন : Book fair,Trade fair,Car fair, erc.
(viii) Any kind of celebration যেমন : Celebration of Eid-ul-
Fitre/Durga puja/Book fair etc.
একই শ্রেণীর বিভাগভুক্ত Paragraph গুলো একই নিয়মে
লেখা সম্ভব । কেবল মাত্র (NP) স্থলে ঐ শ্রেনীর
অন্তর্ভক্তটির নাম লিখতে হবে। (NP) অর্থ Name of the
paragraph .
Paragraph লিখনের 6 টি নিয়ম নিম্নে দেওয়া হলো :-
(1) Good Habits/Characteristics
He is very important element for our lives (NP) in a society; he
should (NP) his duty to the society. If he does dot abide by
the rules. There is no peace in has family or society. It is the
mist valuable at the every step in our lives. It is the way to
success in life. The man, who abides by the great virtue, has
achieved a great respect in his live. Without (NP) none can
hope to be a famous person. Of we find the noble and famous
persons, who have brought glory to their lives, we shall
discover that their happiness depends on (it). It is not thing but
mental matter, but it has a great demand to prepare one life. It
is preferable to wealth. If wealth losses,it will be found again
but if (it) losses. It will impossible found again. One may have
much wealth but he is hated in the absence of (it). Without
this noble virtue man becomes unhappy and helpless. We
should try to our best to abide by this virtue.
1. Discipline, 2. Value of time, 3. Education, 4. Honesty, 5.
Partitions, 6. Dignity of labor, 7. Self-reliance, 8. Ambition, 9.
Truthfulness, 10. Charity, 11. Obedience, 12. Perseverance, 13.
Duty to superiors, 14. Character, 15. Punctually, 16.Cleanliness,
17. Self- employment, 18. Culture, 19. Early rising, 20. Morning
walk.
(2) Problem:
Bangladesh is a very small country. There are many problems
in our country. Some of them are big and some of them are
small. Some of them are preventable and some of them are
unpreventable. But problem is problem. It may be different
only, such as food problem, Flood problem, population
problem, dowry problem and so on. (NP) is one of them. (NP)
is a great problem in our country. It is our created problem.
There are various causes of it. Firstly, most of the people of
our country are uneducated; secondly, we are usually
backward. Thirdly, our government is also responsible for this
vital problem. Fourthly, we are not economically self-sufficient.
Finally, it is our political unrest which is responsible for this
problem. But this problem is not out of solution. It can be
solved if we try. Proper steps should be taken to solve. A
government or a man can not solve (NP) by himself. So we
should all work hard to solve this problem. It is not only our
national problem but also a worldwide problem. We can easily
realize about the effect of it. We hope that we will be able to
overcome (NP) in the days to solve.
Science (weÁvb):
We live in an age of science. Modem civilization is the
reflection of it. It is a blessing to mankind. We can see the
wonders of science around us. Science has made our life easy
and comfortable such as telephone, computer, internet, radio,
electricity, dish-antenna etc. They are very useful to our live.
We cannot think of our modern life without it. It has changed
out life, society, and culture. It has both good sides and bad
sides. If it is used to the welfare of mankind, it will be
welcomed. But if is used to the destruction of human
environment, it is not welcomed by the people. The invention
of (NP) has changed of the world. It has great impact on the
world. It works like the magic lamp of Aladdin; Now (NP) has
become an essential part in our every day life. We can not
think single moment without it. We can not think single
moment without it. We can do anything position on negative by
the help of it. But we should use it for the welfare of whole
mankind.
Person’s Profession (e¨w³i ‡ckv)
We have in society. We can see various types of people in it.
Though all are not important, they are part and parcel of our
society. They may be of different professions. Such as doctor,
teacher, fisherman, poet singer, player etc. (NP) is one of
them. He is a common important person. (NP) is an educated/
uneducated man. His activities are very useful for us. His
character is very well. His truthfulness and honesty is
unthinkable. (NP) is busy person. It the way of living (NP) is
very simple. He/She is a good natured person. His/Her works
are for the welfare of society. We like him very much for his
simplicity and his friendly behavior. Since he is a part and
parcel of our society. It is out duty to be careful to him. We
must help him as much as we can. We can do anything
positive in our society by the help of a (NP).
Place (¯’vb):
This world is full of joy and beauty. Some are men made and
some are natural. These are not significant for their precious
source of wealth but priceless for excellence and unique
characteristics. (NP) is a common place. (NP) is generally
located in suitable place. The place is wide and open. (NP) is
very important and significant, both from social and
institutional point of views. (NP) is a source of pleasure. It is
usually a quite/unquiet place. Where people gather, it
becomes a place of noise and busy activities. It is the part
and parcel of our life. Thus it is always crowed. (NP) is well
decorated. Of all the necessary elements (NP) is one of the
invariable of modern civilization. Proper steps should be taken
to improve it. Since the dawn of civilization we can see (NP) is
surviving to us. Without (NP) our society can not be fulfilled, in
every daily life. (NP) is essential. But sometimes it is full of din
and bustle is not suitable for the environment. (NP) should be
free from it. Every thing should be disciplines. Without
discipline (NP) is becoming chaos and anarchy. Proper stapes
should be taken to improve its condition. (NP) has great
importance in economic. All kinds and classics of people
come here. We are thankful of its service of mankind. (NP)
has established itself firmly in our hearts. We can not ignore
the blessing of (NP). So it is very useful to us.
Incident (`yN©Ubv mgyn:
Time and tide wait for none. It is a proverb. So time is very
valuable for human life. It is a difficult question, what is time?
Perhaps many of them say time is minutes, hours and day. But
it is quite wrong. Minutes, hours and days are created by
human mind. Lost wealth may be replaced by industry, lost
knowledge by study, lost health by medicine and producing
and nursing but lost time is gone forever. Human life is very
short. Our life is nothing but a collection of some moments.
Every man has a memorable day in his life. As a human being
O have also a habit of past time. A moment can change the
shape of man’s attitude to life. (NP) can be better understood
by a man. (NP) is memorably ever in my life. It has a strong
place is my heart. I cannot forget it. It gives me much
pleasure/pain. Now our lives have been filled with thorns of
various problems. But I still cherish/remember (NP). This
memorable/painful event will remain ever fresh and vivid in
my heart and memory.
Any kind of Fair
There are many kind of fairs. Such as book fair, trade fair,
baishakhi fair, maharram fair, international trade fair, flowers
fair, New Year’s Day fair and car fair. (It*) is one of them. It is
held on a fixed day of month every year. Traders decorate
their stalls or pavilions very tastefully to attract the attention of
the people. People enter the stall and ask many questions
about their (Book**) commodities. Foreigners also attend the
fair to know the quality. Sometimes foreign stalls are opened
to advertise their products. People can buy any (books)
commodities in cheap rate. Sometimes cultural functions are
arranged for the people. Children-toys, sweets, and many
other things are sold around the gates. It is a great meeting
place of public. Generally it is opened up to 10 pm. usually
people of all classes attend (It). I attend many fairs. Poets,
businessmen, students, teachers and many other people come
in the fair. Foreign goods (books) are available in most of the
stalls of the (it).
Book fair, Trade fair, Baishakhi fair, Maharram fair, New year
day fair, Car fair, Computer fair, Mobile fair, Village fair, Tree
fair , Etc
Any kind of Celebration
Celebration of (Eid-ul-fitre/Pahela Baishakh) is really a
wonderful moment. It opens the door of friendship. It is a very
important day fir a (nation /community. The day is celebrated
actress (the country/the world) with special honour. On the
day (Eidgah/Shaheed minar/different kinds of fair) (becomes /
become) the meeting place of people. It creates brotherhood.
Celebration of (Eid-ul-Fitre/Durga puja/ Language Day) helps
us in many ways. It broadens our outlooks. It also refreshes
our minds. It is the way to break prejudice. It is the day of
entertainment. It is the day of enjoyment and purification too.
On this day, different kinds of programs are channels telecast
various programs. Different newspapers also publish
supplementary. Overall, such happy occasions remove the
separation among the people of various religions, culture and
casts. Above all, it is the way of removing narrowness and
enhancing the broadness of mind.
Celebration of Eid-ul-Fitre/Durga puja/Buddha purnima/
Christmas Day/Pahela Baishakh / Ekushey Febryary/Book Fair/
Birth Day/Cultural trends/Victory Day & So on.
Abstract Idea:
To make life useful and successful every man should have
some extra-ordinary qualities. (NP) is one of them. It is a
quality that makes our life valuable and powerful. A person
having such quality leads a happy and powerful. A person
having such quality leads a happy and an orderly life. He/she
seldom faces unacceptable obstacle in life. He/she is sure to
prosper in life. (NP) signifies moral sensibility. It flashes our
human power and reflects our mind. Thus it enlightens our
mental faculty by changing the mode of leading life in
accordance with rules. (NP) is a kind of virtue. It has to be
acquired through habit and diligence. But for it fame, progress
or success is impossible. In short we can say that we have to
follow those who have gained their success by dint of (NP).
Honesty, Truthfulness, Education, Ambition, Character,
Behavior, Modesty, Patriotism etc
Bad habits:
(NP) is a very harmful element for our lives. As man lives in a
society, he should maintain some social rules; otherwise there
may be some bad effects in the society. (NP) makes not only
harm a single person but also harmful to all over our country.
The man, who wants to lead his life happily, should avoid
(NP). Having such kind of worse character now can be
possible to be a famous person. If we find the noble and
famous persons who prosper in life. We shall discover that
none then in (NP). It is the cause of suffering for the society.
There is hardly any person who has never seen heard (NP) in
our Bangladesh. It is too harmful matter (NP) holds high
position, Though, Government may have very much concerned
about it. We should take proper step…..
Scope: Terrorism / Smoking / Environment pollution / Hurtle/
Drug addiction / Dowry system / Illiteracy / Child laver /
Copying in the examination, etc
DigitalBangladesh:
Bangladesh has already fixed her target of achieving “Digital
Bangladesh” with that particular time. It is a time of expecting
of the nation to see their country in a proper position among
other hi tech countries in the world. With a view to implement
of Digital Bangladesh the first and foremost duty is to spread
the ICT education throughout the whole country. Present ruling
pasty (AL) is committed to the nation for implementing Digital
Bangladesh and regarding this she has projected various
steps. Because of being poor and illiterate, our people can not
use ICT. Using ICT is still now beyond their imagination. It is
unfortunate that some of us consider it nothing But mere a
fashion though most of the people of our country have a lot of
interests they remain out of access of ICT on account of high
price. In the present era of globalization ICT is a cross cutting
issue. The main obstacles are economic crisis, illiteracy,
poverty, fundamentalism tyranny of muscular energy,
corruption terrorism and so on. Our country a digital one,
government’s commitment and people’s co-operation are
urgently required. Government should take steps to spread ICT
education throughout the country, our education should lay
computer based. Students should get easy access to the
computer. Then we would be able to build up “Digital
Bangladesh”.

প্রোগ্রামিংয়ের আশ্চর্য জগতে স্বাগত

তোমাদের মধ্যে অনেকেই ইংরেজি সিনেমা দেখো। প্রোগ্রামার শব্দটা শুনলেই তাই অনেকের মনে মনে ভেসে ওঠে উষ্কখুষ্ক চুলের পুরু চশমা পরিহিত কোনো তরুণ, যে কিনা ঠাস ঠাস করে দ্রুতলয়ে কম্পিউটারের কি-বোর্ডের কি চাপছে আর একের পর এক নিরাপত্তা ভেদ করে ঢুকে যাচ্ছে বিভিন্ন সিস্টেমে, মানে হ্যাকিং করছে আরকি। আবার তোমরা যারা সিনেমা তেমন একটা দেখো না, প্রোগ্রামার শব্দটা শুনলে তোমাদের মনে ভেসে উঠবে গোবেচারা ধরনের কোনো যুবক, যে অফিসের কম্পিউটার টেবিলের সামনে বসে অনবরত টাইপ করে চলে, আর আশপাশে বস না থাকলে ফেসবুক খুলে বসে থাকে! মজার ব্যাপার হচ্ছে, কম্পিউটার বলতেই আমরা যেমন মনিটর, কি-বোর্ড কিংবা ল্যাপটপ বুঝি, সেটি কিন্তু ঠিক নয়। যেই যন্ত্র কম্পিউট অর্থাৎ গণনা করতে পারে, সেটিই কম্পিউটার। হ্যাঁ, তোমার মোবাইল ফোন কিংবা ক্যালকুলেটরও একটি ছোট্ট কম্পিউটার। আবার গাড়ি কিংবা ওভেন—এখানেও আছে কম্পিউটার। এবারে আরেকটি মজার তথ্য দিই। প্রোগ্রামার বলতেই বেশির ভাগ মানুষের সামনেই কোনো ছেলের অবয়ব ভেসে ওঠে, যদিও পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামার ছিল একটি মেয়ে, অ্যাডা লাভলেস তার নাম।

 অ্যাডা লাভলেস, পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামার

প্রোগ্রামিং কী

 তোমরা জানো, কম্পিউটারকে মোটা দাগে দুটি অংশে পৃথক করা হয়, হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার। হার্ডওয়্যার হচ্ছে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আর সফটওয়্যার হচ্ছে সেসব যন্ত্রাংশ চালানোর জন্য লেখা নির্দিষ্ট সংকেত বা কোড। হার্ডওয়্যার কীভাবে কী করবে, সেটি নির্ধারণ করে সফটওয়্যার, যাকে আমরা কম্পিউটার প্রোগ্রামও বলে থাকি।

 এনিয়াক, পৃথিবীর প্রথম ইলেক্ট্রনিক কম্পিউটার

কম্পিউটার প্রোগ্রাম হচ্ছে এক বিশেষ ধরনের ভাষায় লেখা সংকেত, যেগুলো সাজানো থাকে এমনভাবে, যাতে করে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার সহজেই বুঝতে পারে, তাকে ঠিক কোন কাজটা কীভাবে করতে হবে। পৃথিবীতে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের জন্য যেমন অনেক ভাষা আছে, তেমনি কম্পিউটারের জগতেও অনেক ভাষা আছে, যেগুলোকে বলে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। যেমন: সি, সি প্লাস প্লাস, জাভা, পাইথন, পিএইচপি ইত্যাদি। এসব ভাষার কোনো একটি বেছে নিয়ে সেই ভাষার নিয়মকানুন মেনে ঠিকমতো কোড লিখলে তৈরি হয়ে যাবে কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার। তবে ভাষার নিয়মকানুন ঠিক রেখে শুধু কোড লিখে গেলেই সেটি প্রোগ্রাম হবে না, যেমনটি বাংলা ভাষায় নিয়মকানুন মেনে হাবিজাবি লিখলেই সেটি কবিতা হবে না। হ্যাঁ, কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে ভালো হতে হলে কবিদের মতো সৃজনশীল হওয়া চাই। সঙ্গে অবশ্য আরেকটি জিনিস চাই—যুক্তি বা লজিক।

প্রোগ্রামারের কাজ কী

 প্রোগ্রামারের কাজ হচ্ছে প্রোগ্রাম লেখা। প্রোগ্রামগুলো বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার হতে পারে। যেমন গেমস, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সাধারণ কোনো ওয়েবসাইট কিংবা ফেসবুকের মতো বিশাল ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিন, কম্পিউটার ভাইরাস, অপারেটিং সিস্টেম বা পরীক্ষার রুটিন তৈরি করার মতো সফটওয়্যার। দুনিয়ায় যে কত রকমের সফটওয়্যার আর কত কাজে যে সেগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে, তার কোনো হিসাব নেই।

প্রোগ্রামাররা নিত্যনতুন সফটওয়্যার তৈরি করে চলেছে। এত এত সফটওয়্যার, তাহলে পৃথিবীর সব সফটওয়্যার তো বানানো হয়ে যাবে একদিন, এমন ভাবনা কি তোমার মনে আসছে? মানুষ তো কত-শত বছর ধরে গান গাইছে-লিখছে। তাই বলে কি পৃথিবীর সব গান লেখা হয়ে গেছে?

 মাইক্রোসফট করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ১৩ বছর বয়সে তাঁর প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করেন

প্রোগ্রামিং ক্যারিয়ার

 বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কমবেশি কাজের সুযোগ থাকলেও অধিকাংশ প্রোগ্রামার কাজ করতে চায় সফটওয়্যার তৈরির প্রতিষ্ঠানে। একজন ভালো প্রোগ্রামারের জন্য দেশে-বিদেশে কাজ করার সুযোগ রয়েছে ঢের। দেশের সীমারেখা কখনো কাজের প্রতি বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। প্রতিবছরই বাংলাদেশের শীর্ষ কয়েকজন প্রোগ্রামার চাকরি নিয়ে চলে যাচ্ছে গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুকের মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানে। এ ছাড়া দেশের ভেতরেও কাজের সুযোগ ক্রমাগতই বাড়ছে। একজন ভালো প্রোগ্রামারের কাছে প্রোগ্রামিং হচ্ছে নেশার মতো। নেশাকে পেশা হিসেবে নেওয়ার সৌভাগ্য পৃথিবীর খুব কমসংখ্যক মানুষ লাভ করে, আর সেই স্বল্পসংখ্যক মানুষের মধ্যে প্রোগ্রামাররা অন্যতম।

 ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গও স্কুলে পড়ার সময় প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করেন

উচ্চশিক্ষায় প্রোগ্রামিং

 এ তো গেল সেসব মানুষের কথা, যারা প্রোগ্রামিংকে পেশা হিসেবে নেবে। কিন্তু তোমরা সবাই নিশ্চয়ই বড় হয়ে প্রোগ্রামার হবে না। বাংলাদেশের সব ছেলেমেয়ে প্রোগ্রামিং করা শুরু করলে আর সব কাজ করবে কে? হ্যাঁ, তোমরা এখন কিশোর, আর কবছর পরেই হয়তো তোমাদের অনেকেই পা দেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর তখনই তোমরা ঠিক করে নেবে তোমাদের ভবিষ্যৎ। তবে তুমি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে চাও, তাহলে তোমার প্রোগ্রামিং কিন্তু জানাই লাগবে। গণিত-বিজ্ঞানের নানান বিষয়, এমনকি বায়োলজি নিয়ে লেখাপড়া করতেও প্রোগ্রামিং দক্ষতা কাজে লাগে। কম্পিউটারে কোড লিখে হরেক রকম সমস্যার সমাধান করতে হয়।

 স্কুলপড়ুয়া মার্ক জাকারবার্গ

তবে প্রোগ্রামিং কেবল বিজ্ঞান কিংবা প্রকৌশলের ছাত্র-ছাত্রীদেরই কাজে লাগে এমনটি নয়, অন্য অনেকেরও কাজে আসে। তাই তো এখন পশ্চিমা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে স্কুল থেকেই প্রোগ্রামিং শেখা শুরু হয়। প্রোগ্রামিং তোমাকে অন্যভাবে চিন্তা করতে শেখাবে, সমস্যার বিশ্লেষণ ও সমাধান করার নতুন নতুন উপায় বাতলে দেবে। প্রোগ্রামিংয়ের চর্চা তোমার মস্তিষ্ককে সাহায্য করবে যেকোনো বড় সমস্যাকে ভয় না পেয়ে সেটিকে ছোট ছোট করে সমাধান করতে। তাই আধুনিক বিশ্বের বিশ্বনাগরিক হতে গেলে প্রোগ্রামিংটা কিন্তু জানা চাই।

 

প্রোগ্রামিং কীভাবে শিখব

 প্রোগ্রামিং কি ছোটবেলা থেকেই শেখা যায়? অবশ্যই। তবে খুব ছোট নয়। ধরো, তুমি ক্লাস ফাইভ-সিক্সে পড়ার সময় থেকেই প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করে দিতে পারো। আর এটি কিন্তু এমন নয় যে একটি বই পড়লে আর প্রোগ্রামিং শিখে ফেললে। তোমরা যারা গান শেখো, তারা যেমন নিয়মিত গানের চর্চা করো, প্রোগ্রামিংয়ের বেলাতেও তেমনি চর্চা করতে হয়। নিয়মিত লেখাপড়া আর চর্চার মাধ্যমেই তুমি হয়ে উঠতে পারবে একজন দক্ষ প্রোগ্রামিং শিল্পী।

প্রোগ্রামিং শেখার জন্য শুরুতে প্রয়োজন একটি বই, যা তোমাকে প্রোগ্রামিংয়ের শুরুটা দেখিয়ে দেবে, প্রয়োজন একটি কম্পিউটার, সঙ্গে ইন্টারনেট থাকলে ভালো হয়। তবে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সপ্তাহে গড়ে দশ-বারো ঘণ্টা সময়। অবশ্যই পরীক্ষা চলার সময়টা ছাড়া। প্রোগ্রামিংয়ের বই কোথায় পাবে? দেশের বড় শহরগুলোর বইয়ের দোকানে প্রোগ্রামিংয়ের বই পাওয়া যায়, তবে সেগুলো বেশির ভাগই ইংরেজিতে। ইংরেজি বই পড়া অবশ্য তেমন কঠিন কোনো ব্যাপার নয়, একটু সাহস করে শুরু করে দিলেই হয়। আর বাংলা বই পড়তে চাইলে তোমরা  http://cpbook.subeen.com ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারতে পারো। এখানে বাংলা ভাষায় প্রোগ্রামিংয়ের ওপর একটি বই ফ্রি দেওয়া আছে, যেটি কিনা স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবেই লেখা হয়েছে। আর বইয়ের দোকানে যেতে না চাইলে কিংবা আশপাশে ভালো বইয়ের দোকান না থাকলে রকমারি ডটকম থেকে বই কিনতে পারো। বই তো কেনা হলো, তাহলে আর দেরি কেন? শুরু করে দাও।

 

প্রোগ্রামিং শেখার অনলাইন স্কুল

 ছেলেবেলায় গান শেখার জন্য গানের স্কুল থাকে, নাচ শেখার জন্য নাচের স্কুল। ক্রিকেট খেলা শেখার জন্য ক্রিকেট একাডেমি। কী চমৎকারই না হতো বাংলাদেশে যদি প্রোগ্রামিং শেখার জন্য কোনো প্রোগ্রামিং স্কুল থাকত! কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কী, খুব ভালো প্রোগ্রামার না হলে অন্যকে প্রোগ্রামিং শেখানো যায় না। আর আমাদের দেশে খুব ভালো প্রোগ্রামাররা অনেক ব্যস্ত থাকেন বলে প্রোগ্রামিং শেখানোর বিষয়টি তাঁরা ভাবেন না। এই সমস্যার একটি সমাধান অবশ্য বের হয়েছে। প্রোগ্রামিং ও অন্যান্য বিষয় শেখার কিছু ওয়েবসাইট আছে, যেখানে অনলাইন কোর্স করা যায়। বেশির ভাগ কোর্সই বিনা মূল্যে করা যায়। এ রকম ওয়েবসাইগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে  coursera.org, edx.org I udacity.com।

 কোথাও আটকে গেলে সাহায্য নিতে পারো বড়দের

তবে বাংলা ভাষায়ও প্রোগ্রামিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য অনলাইনে ভিডিও ও কোর্স পাওয়া যায়। এ রকম একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে দ্বিমিক কম্পিউটিং স্কুল:  http://dimikcomputing.com। এর কোর্সগুলো ফ্রি কিন্তু তার জন্য তোমাদের থাকা চাই উচ্চ গতির ইন্টারনেট। আশার কথা এই যে, আমাদের দেশে ইন্টারনেট দিন দিন সহজলভ্য হচ্ছে। আর প্রতিটি কোর্স শেষেই ডিভিডি বের করছে দ্বিমিক কম্পিউটিং স্কুল (ফেসবুক পেজ:  https://www.facebook.com/DimikComputing), যাতে করে যাদের ভালো ইন্টারনেট নেই, তারা ডিভিডি থেকে ভিডিও লেকচার দেখে শিখতে পারে। শিক্ষক ডটকম ( http://shikkhok.com)-এও প্রোগ্রামিংয়ের কিছু কোর্স রয়েছে, যেগুলো বিনা মূল্যে করা যায়। এ ছাড়া ইন্টারনেটে নানান ফোরাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে, যেখানে তুমি যোগ দিতে পারো এবং প্রোগ্রামিং নিয়ে আলাপ করতে পারো।

 

অনলাইন বিচারক

 প্রোগ্রামিং শেখার শুরুটা তো হলো। চর্চাটা হবে কীভাবে? ইন্টারনেটে হাজার হাজার প্রোগ্রামিং সমস্যা পাওয়া যায়, যেগুলো সমাধান করে তোমার প্রোগ্রাম সেখানে জমা দিলে তুমি কিছুক্ষণের মধ্যেই জানতে পারবে যে তোমার সমাধানটি সঠিক হয়েছে কি না। যেসব ওয়েবসাইটে এই সুবিধাটা আছে, সেগুলোকে বলে অনলাইন জাজ বা সংক্ষেপে ওজে ( OJ)। লাইটওজে ( lightoj.com) একটি চমৎকার অনলাইন জাজ, যেখানে তুমি প্রোগ্রামিং চর্চা শুরু করতে পারো। আর বাংলা ভাষায় প্রোগ্রামিং সমস্যা পেতে চাইলে তোমাদের যেতে হবে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বইয়ের ওয়েবসাইটে।

ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াড

 প্রোগ্রামিং প্র্যাকটিস করতে করতে তো ঝানু হয়ে গেলে। কিন্তু তোমার মেধাটা দেখাবে কোথায়? তোমার জন্য রয়েছে ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াড। বাংলাদেশে প্রতিবছর ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারে। সেখান থেকে বিজয়ীদের জন্য আয়োজন করা হয় বিশেষ ট্রেনিং ক্যাম্পের এবং সেই ক্যাম্প থেকে কয়েকজনকে নির্বাচিত করে পাঠানো হয় আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াডে। বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াডে যারা ভালো করে, তাদের ভর্তি করাতে বেশ আগ্রহী হয়। সুখবর হচ্ছে, বাংলাদেশেও এমনটি চালু হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। যারা আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াডে অংশ নেবে, তাদের কোনো ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে না। এইচএসসি পাসের পরে তারা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো বিষয়ে ভর্তি হতে পারবে। বাংলাদেশ ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াডের খোঁজখবর পেতে হলে ফেসবুকে একটি গ্রুপ আছে, সেখানে যোগ দিতে হবে। গ্রুপের ঠিকানা বের করার দায়িত্ব আমি তোমাদের ওপর ছেড়ে দিলাম।

চর্চা করার আরও কিছু উপায়

 কিন্তু প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা হচ্ছে অনেকগুলো উপায়ের মধ্যে একটি, যার মাধ্যমে তুমি তোমার প্রোগ্রামিং-দক্ষতা বাড়াতে পারো। এর মানে এই না যে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ না নিলে তুমি ভালো প্রোগ্রামার হতে পারবে না। তুমি হয়তো মজার কোনো গেম বানানোর চেষ্টা করতে পারো, কিংবা একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। আর তুমি যদি স্মার্টফোন ব্যবহার করো, তাহলে তোমার ফোনের জন্যও একটি অ্যাপ্লিকেশন বানিয়ে ফেলতে পারো।

 

কম্পিউটার সায়েন্স

 এইচএসসি তো পাস করে ফেললে। প্রোগ্রামিংয়ে ওস্তাদ হয়ে গিয়েছ। এখন তুমি তোমার পছন্দমতো বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার চেষ্টা করবে। আর যদি তুমি প্রোগ্রামিংকে খুব গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলো, তাহলে তোমার উচিত হবে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়া। সেখানে প্রোগ্রামিংয়ের পাশাপাশি কম্পিউটার বিজ্ঞান সম্পর্কে তোমার জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়বে। তবে এখানে বলে রাখি, কম্পিউটার সায়েন্স মানেই শুধু প্রোগ্রামিং নয়, আরও নানান বিষয় পড়তে হয় সেখানে। তুমি কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হয়ে কেবল প্রোগ্রামিং করবে আর অন্য বিষয়গুলো পড়বে না, তা হবে না, তা হবে না।

এখনই সময় শুরু করার

 আমি ছোট, আমি কি প্রোগ্রামিং শিখতে পারব? বিল গেটসের নাম তোমরা নিশ্চয়ই শুনেছ, বিশ্ববিখ্যাত কোম্পানি মাইক্রোসফট করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা। ১৩ বছর বয়সে বিল গেটস তাঁর প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করেন, যেটি ছিল টিক-ট্যাক-টো গেম। তারপর তিনি যেই স্কুলে পড়তেন, সেখানে ক্লাস শিডিউল তৈরির সফটওয়্যারও বানিয়ে দেন। ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গও স্কুলে পড়ার সময় প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করেন। প্রথমে তাঁর বাবাই ছিলেন তাঁর প্রোগ্রামিং শিক্ষক। স্কুলে যখন তাঁর বন্ধুরা গেম খেলতে ব্যস্ত, সেই সময়টা জাকারবার্গ ব্যস্ত থাকতেন গেম বানানোর কাজে! এ রকম আরও অনেক উদাহরণ আছে, আমি কেবল তোমাদের পরিচিত দুজন মানুষের কথা বললাম। বিল গেটস যদি সফটওয়্যার তৈরি করেই পৃথিবীর সেরা ধনী হতে পারেন, মার্ক জাকারবার্গ যদি ফেসবুক তৈরি করে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে যুক্ত করতে পারেন, স্টিভ জবস যদি আইফোন তৈরি করে সারা পৃথিবীর মানুষকে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন, তুমি কেন পারবে না? তোমাদের এখন কাজ হবে বাবা-মাকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তাঁদের কাছ থেকে অনুমতি বের করা, যেন তুমি সপ্তাহে ১০-১২ ঘণ্টা প্রোগ্রামিং করতে পারো। তাহলে আর তোমাকে ঠেকায়—এমন সাধ্য কার?

 

কোন ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে শুরু করব

তুমি যদি ক্লাস থ্রি, ফোর কিংবা ফাইভের শিক্ষার্থী হও, তাহলে এমআইটির তৈরি স্ক্র্যাচ দিয়ে প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করতে পারো। আর তুমি যদি ক্লাস সিক্স বা তার ওপরের ক্লাসের শিক্ষার্থী হও, তাহলে পাইথন ( Python) প্রোগ্রামিং ভাষা দিয়ে শুরু করাটা ভালো হবে। কারণ, পাইথন শেখাটা তুলনামূলক সহজ। তবে তুমি যদি ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে চাও, তাহলে তোমার সি শিখতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ওয়েবসাইটের ঠিকানা তোমাদের দিয়ে রাখছি। প্রোগ্রামিং নিয়ে একটু হলেও আগ্রহ থাকলে এসবে ঢুঁ মারতে পারো। দেখবে কী মজার এক জগৎ তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।

tynker.com, scratch.mit.edu, code.org, edx.org, coursera.org, udacity.com, dimikcomputing.com, stackoverflow.com, shikkhok.com, khanacademy.org